আমি যেভাবে কোভিড- ১৯ মহামারীর মাঝে ইতিবাচক মনোভাব ধরে রাখছি

‘ভাইরাস’ যা অনেকটা মানুষের স্বাভাবিক অবস্থার সামনে বিপরীতভাবে এক যুদ্ধ ঘোষণা করে। যা কিনা অনেককেই যুদ্ধের আগেই হার মানতে বাধ্য করে।

কোভিড-১৯ নামের এক জানা তবুও অজানা  ভাইরাস আজ আমাদের সমগ্র বিশ্বের গতিকে এক চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে। 

সীমাহীন স্বাধীনতার সামনে সীমাহীন ভাইরাসটি আমাদের সীমাবদ্ধ করে রেখেছে।

এই মহামারীর সময়ে আমি নিতান্তই সাধারণ একটি ছেলে আজ অসাধারণ ভাবে লড়াই করে বেঁচে থাকার এক নীরব এবং সাহসী সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি। এই কোভিড-১৯ এ আমি নিজেকে এক নতুনভাবে চেনার চেষ্টা করছি।

এই অবসর সময়ে আমি সবসময় নিজের শরীরকে বাসায় আবদ্ধ রেখেও নিজের চিন্তাকে অন্তরালের আড়াল থেকে বাইরের সুন্দর পৃথিবীকে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। যা আমার মনোভাবকে সবসময় ইতিবাচক রাখতে সাহায্য করছে।

এছাড়াও আমি প্রতিদিন নিজের শরীরচর্চার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করেছি। এটি মানসিক চাপ কমাতে এবং বাড়িতে থেকে ইতিবাচক মানসিকতা বজায় রাখতে প্রচুর শক্তি যোগাতে সহায়তা করে। 

আমি যেহেতু একজন ক্রীড়া প্রেমিক তাই আমার আগে থেকেই ক্রীড়ার মূলমন্ত্র জানা ছিল। তা হলো ক্রীড়া অনুশীলনে খেলোয়াড়দের যে প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয়, নিয়ম মেনে চলতে হয়, ইতিবাচক মনোভাব ধরে রাখতে হয় এবং আত্মবিশ্বাসী হতে হয়, সেই ধরণের মনোভাবই সংক্রমণ মোকাবেলার অন্যতম হাতিয়ার৷ এই মন্ত্রের মাধ্যমে আমি নিজেকে আত্মবিশ্বাসী ও সংগ্রামী করে গড়ে তুলতে পেরেছি।

আমি স্মরণে রাখার চেষ্টা করেছি যে আমি আমার মনোভাবের নিয়ন্ত্রক। যা আমাকে দৈন্দিন নেতিবাচক পরিবেশের মধ্যে আমার ইতিবাচক মনোভাবকে বাঁধা দিতে পারেনি। তাছাড়াও আমি নিজের দৃঢ় বিশ্বাস তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যেটি খারাপ মনোভাব থেকে ভালো মনোভাব তৈরি করেছে।

আমি প্রতিদিন সকালে উঠে ১৫ মিনিট সময় ব্যয় করে কিছু উৎসাহমূলক ও প্রেরণামূলক বিষয় পড়তাম। আমাকে সারাদিন ইতিবাচক রাখতে এই ১৫ মিনিট বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।

করোনার এ মহামারী আর কতদিন চলবে তা হয়তো বলা কঠিন কিন্তু নিজের এই মনোবল যে সবসময় ধরে রাখতে হবে তা হয়তো করার থেকে বলা অনেকটাই সহজ। এই সময়ে আমি আমার অবসর সময়ের পরিসীমাকে ছোট করে নিয়ে এসে নিজেকে বুঝিয়েছি প্রতিটা সেকেন্ড আমার জন্য মূল্যবান এবং অবসর সময়টিকে নিজের কাজের মধ্যে রেখেছি৷ কোভিড-১৯ এর আগে গল্পের বই পড়া ছিল আমার জন্য অবসর সময় কাটানো, আর এখন বই পড়াকে রেখেছি আমার কাজের অংশ হিসেবে। যা আমার মন ও চিন্তাকে সবসময় জ্ঞানের গভীর সমুদ্রে নিদ্রাহীন জাহাজের নাবিক হিসেবে গড়ে তুলেছে। আমি উপরিউক্তভাবেই ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখতে পেরেছি।

মো. আবু জুহাইফা আবির

University Category

GB004

 

LEAVE REPLY

Your email address will not be published. Required fields are marked *