চীনের উহানে সর্বপ্রথম শনাক্ত হওয়া করোনা ভাইরাস অল্প কয়েক মাসের মধ্যেই বিস্তার লাভ করে। যেহেতু করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে আসলে সুস্থ ব্যক্তির ও আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অধিক তাই শুরু থেকেই এই মহামারির বিস্তার ঠেকাতে বাংলাদেশ সরকার গার্মেন্টস, শপিংমল, ব্যাংকসহ জনসমাগম হয় এমন স্থান গুলো নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়। এলাকাভিত্তিক লকডাউন এবং মার্চ থেকে এখন পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বন্ধ। কর্মচঞ্চল মানুষদেরকে গৃহবন্দী জীবন কাটাতে হচ্ছে।
একজন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী হিসেবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়াতে প্রায় সাত মাসের মতো ঘরেই অবস্থান করছি। প্রথমদিকে গৃহবন্দী থাকতে বিরক্তিকর ও অসহ্য মনে হলেও পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে পারার পর পরই কোভিড–১৯ এর ইতিবাচক দিক গুলো সামনে এসেছে।
বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের প্রভাব বিশেষ করে নেতিবাচক হলেও কিছুটা ইতিবাচক ও। করোভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে শিল্পকারখানা ও গার্মেন্টস বন্ধ থাকাতে বায়ু দূষণের মাত্রা অনেকটা কমে গিয়েছিল। কর্মব্যস্ত এবং চাকরিজীবী পিতা–মাতারা সন্তানদের সাথে বেশী সময় কাটাতে পারছে। পরিবারের সদস্যরা একসাথে অনেকটা সময় কাছাকাছি থাকার ফলে পারিবারিক সহমর্মিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতিরিক্ত অবসর সময় থাকায় অনেকেই অনলাইন বিজনেস, ফ্রিল্যান্সিংযের প্রতি ঝুঁকছে যা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং বেকারত্বের হার কমাবে। করোনা আক্রান্ত, এবং করোনার কারনে উপার্জন বন্ধ হয়ে যাওয়া জনগোষ্ঠীদের সহায়তা প্রদানের উদ্দেশ্যে অনেক সেচ্ছাসেবী সংগঠন গড়ে উঠেছে। যে সংগঠনগুলো পরবর্তীতে ও ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়। যেহেতু হাত থেকে নাক, মুখ ও চোখের মাধ্যমে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি তাই শুরু খেকেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকার ব্যাপারে সতর্ক করা হয় সেহেতু মহামারি শেষ হলেও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার চর্চা অব্যাহত থাকবে। বারবার হাত ধোয়া, বাইরে থেকে এসে গোসল করা, যেখানে সেখানে কফ-থুথু না ফেলা, বাইরে যাওয়ার সময় মাস্ক পরিধান করা ইত্যাদি সুঅভ্যাস গড়ে উঠছে।
এতো এতো নেতিবাচক প্রভাবের মাঝেও কিছু ইতিবাচক প্রভাব এবং এর ভালো দিক গ্রহণ করার মাধ্যমে এই করোনা মহামারির মাঝেও আমি ইতিবাচক মনোভাব ধরে রাখছি।
Sanjida Akter
University Student
GB084