কোভিড-১৯ মহামারীর সংক্রমণ নিয়ে জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় ভুগছে সকলে। এ অবস্থায় শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে অনেকেরই কিন্তু আমি ঠিক প্রথম থেকেই মহামারী মোকাবিলার জন্য নিজের প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ সাহস এবং ধৈর্য ধারনের মধ্যে দিয়ে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য রুটিন মাফিক জীবন এর মধ্যে দিয়ে নিজেকে ব্যাস্ত রাখছি এবং মনোবল দৃঢ়ভাবে শক্ত রাখছি।
আমি প্রথমেই সুশৃঙ্খল জীবন বিন্যাস তৈরি করে তা নিয়মিত পালনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।মানসিক উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দূর করতে এবং একটি সুন্দর দিন শুরু করতে প্রথমেই পর্যান্ত পরিমাণে ঘুমিয়ে নিচ্ছি, তারপর ব্যালেন্সড ডায়েট, মেডিটেশন, ব্যায়াম, গান শোনা , বই পড়া, নাটক দেখা, সিনেমা দেখা, বাড়ির পাশে বাগানে দাঁড়িয়ে নিজেকে এবং শরীর ও মনকে প্রফুল্ল রাখার চেষ্টা করছি। আমি নিজেকে সজীব রাখতে সর্বদা ডায়েরি, ব্লগ বা গল্প লেখা এবং জুম বা স্কাইপের মাধ্যমে আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ এবং অনলাইনে ক্লাস এবং সৃজনশীল কাজ এর মধ্যে দিয়ে নিজেকে ব্যস্ত রাখছি। এতে করে মানসিক দুশ্চিন্তা আমাকে আঁকড়ে ধরতে পারে না, এটি উপলব্ধি করতে পারছি।
আমি, ভবিষ্যতে কি হবে তার দুশ্চিন্তা না করে প্রতিটি দিনকে উপভোগ করার চেষ্টা করি এতে আমার দুশ্চিন্তা কমে আসে। এই সময়টাতে আমি দায়িত্বশীল একজন মানুষ হিসেবে নিজেকে তৈরি করার জন্য আমার ছোটো ভাইদের দেখাশোনা তাদের ছোট ছোট কাজের দায়িত্ব নিচ্ছি। তা্ছাড়া খাবার এর পর প্লেট পরিষ্কার করা, ফুলের টবে পানি দেওয়া, ছোটো ভাইবোনদের খুশি রাখার চেষ্টা করা, রাধতে সাহায্য করা, বাড়িঘর গোছানোও পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করি কারণ আমি মনে করি এই সময়টাতে সকলের দায়িত্বশীলতা বোধটা তৈরি হওয়া জরুরি,এতে করে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং তার সাথে পরিবারের প্রতি দায়িত্ববোধ বাড়বে।
এই সময় আমরা সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তায় পরে থাকি সেক্ষেত্রে আমি চেষ্টা করি কষ্টের বা দুশ্চিন্তার কথা গুলো খাতায় লিখতে কারন আমি মনে করি শারিরীক ও মানসিকভাবে ভালো থাকার জন্য মনের কথা গুলো একটি ডাইরি বা খাতায় লিখে রাখা জরুরি এতে সময় কাটে এবং চিন্তাশক্তি বৃদ্ধি পায়।
যে কোনো সমস্যায় আমি প্রথমেই আস্থাভাজন ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের পরামর্শ নিই,কারন তারা আমাকে মানসিক ভাবে শক্ত থাকতে সাহায্য করেন বিভিন্নভাবে।
ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি করার চেষ্টা করি কারণ ইতিবাচক চিন্তা আমাদের শরীর ও মনকে সুস্থ রাখে,তাই পরিস্থিতি যতই খারাপ হোক না কেনো ইতিবাচক মনোভাব জাগ্রত করা অত্যন্ত জরুরি এতে পরিস্থিতিতে টিকে থাকার জোর পাওয়া যায়।
যেহেতু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ,প্রায় আবদ্ধ শহরে বিচ্ছিন্নতার জন্য অনেক সময় অসহায় লাগে কিন্তু আমি এই অসহায়ত্ব দুরে ঠেলে শারিরীকভাবে বিচ্ছিন্ন হলেও স্বজন এবং বন্ধুদের সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাহায্যে যোগাযোগ রেখে পরস্পরের খোঁজ রাখছি, করোনায় সংক্রান্ত হলে কীভাবে কার কাছে থেকে শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সাহায্য গ্রহন করবো তার একটা আগাম পরিকল্পনা তৈরি রাখছি।
বিশ্বাসযোগ্য ও সঠিক তথ্য গুলো কালেক্ট করছি, সংক্রমণের ঝুঁকি এবং প্রয়োজনীয় স্বাস্থাবিধি সংক্রান্ত তথ্য গুলো নিয়ে প্রাথমিক জ্ঞান এর অভিজ্ঞতা গুলো জেনে রাখছি এবং পরিবার এর সদস্যদের জানিয়ে রাখছি।
করোনা নিয়ে সঠিক তথ্য জানার পাশাপাশি অন্যান্য অনুষ্ঠান গুলো উপভোগ করছি।।
সর্বপরি আত্নপ্রত্যয়ী হয়ে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস ও আস্থা রাখছি, এতে করে মানসিক চাপ অনেকাংশে লাঘব হচ্ছে।
Prosanto Saha
University Category
GB040