করোনা ভাইরাস এর সংক্রমণ পৃথিবী জুড়ে বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে ইতিবাচক বা মন ভালো রাখা কঠিন। স্বাভাবিক জীবনের ছন্দপতন ঘটেছে বেশীরভাগ মানুষের জীবনে। করোনা ভাইরাস আমাদের থেকে কেড়ে নেবে অনেক কিছু, তবুও এই সময়ে ইতিবাচক মনোভাব ধরে রেখে সামান্য অর্জনও যদি করা যায়, তবে তা করোনা পরবর্তী পৃথিবীকে আরও সুন্দর করে তুলবে।
কোভিড–১৯ এর প্রভাবে ১৭–ই মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু তা যে এত দীর্ঘস্থায়ী দুটি হবে তা করো জানা ছিলো না। তাই সকল পেশাজীবি সহ শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার ছন্দপতন ঘটে। আমারও তার ব্যতিক্রম নয়।
তবুও সবকিছুর মধ্যেই ইতিবাচক মনোভাব ধরে রাখার চেষ্টা করছি।
প্রথমত কোভিড–১৯ এ আমি মানসিক চাপ যাতে সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখছি। ঘরে থাকার সময়টাকে মোটেই বন্দী ভাবছি না। ঘরকে বন্দীদশা না মনে করে সময়টাকে পরিবারের সাথে উপভোগ করার চেষ্টা করছি। লকডাউন এর ফলে পরিবারের সদস্যদের সাথে বেশি সময় কাটানোর সুযোগ হয়েছে। সময়টাকে ভালোভাবে কাটাতে চেষ্টা করছি। এতে পরস্পরের মধ্যে সম্পর্ক গুলো আরও সুন্দর এবং দৃঢ় হয়েছে।
কোভিড–১৯ এ করা আমার কিছু কাজ– করোনা ভাইরাস এর প্রথম দিকের সময়টা আমি বিভিন্ন রকম বই পড়ে কাটাই। পরবর্তীতে ছবি আঁকার প্রতি মনোযোগ দেই। ছোটবেলা থেকে আগ্রহ থাকলেও বিভিন্ন কারণে কয়েক বছর ছবি আঁকা হয়নি। এ সময়টাতে তাই নতুন করে আমি ছবি আঁকা শুরু করি, যা আমার সময়টাকে আরও বৈচিত্র্যময় করে তালে। তাছাড়া হাতের কাজের প্রতি আগ্রহ থাকায় মাযের কাছ থেকে বিভিন্ন রকম সেলাই, পাটের শিকা বানানো শিখি যা খুবই আনন্দের ছিলো।
এছাড়াও সাইকেল চালানো শেখার প্রতি আগ্রহ ছিল। গ্রামে করোনা ভাইরাস এর প্রভাব কম খাকায় লকডাউন এর এই সময়টাতে আমি সাইকেল চালানো শিখেছি। যা আমার কাছে অভাবনীয় একটি অর্জন ছিল এই লকডাউন এর সময়টাতে।
পরবর্তীতে শুরু হয় অনলাইন ক্লাস যা সম্পূর্ন নতুন একটি অভিজ্ঞতা ছিল। এটাকেও আমি ইতিবাচক ভাবে নিয়েছি। কেননা উন্নত দেশগুলোর মত আমাদের দেশেও ভবিষ্যতে অনলাইন ক্লাস এর কথা ভেবেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপুমনি। কোভিড–১৯ এর প্রভাবে তা আগেই শুরু হলো যা পরবর্তী সময়ে আমাদের জন্য ইতিবাচক হবে।
সবমিলিয়ে করোনা ভাইরাস পৃথিবীময় আতংক ছড়ালেও এ সময়টাকে আমি ইতিবাচক ভাবে গ্রহন করছি এবং কঠিন সময়ের সাথে লড়াই করার মনোভাব তৈরি করতে পেরেছি যা পরবর্তী কঠিন পদক্ষপে আমাকে সাহস যোগাবে।
Jarin Tasnim Jeni
University Student
GB083